মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১

Cryptocurrency

 

আসসালামু আলাইকুম 🥰🥰আশা করি সবাই ভালো আছেন।তো আজকের ধারাবাহিক পর্বে আলোচনার বিষয় হলো
Cryptocurrency 😴😴
<Note>post টি লেখার জন্য কয়েকটি blog এর help নিতে হয়েছে🙂
Cryptocurrency কি সেটা বোঝার জন্য আমাদের আগে জানতে হবে এই দুটি শব্দ (crypto + currency দিয়ে কি বোঝায়।
Cryptography – ল্যাটিন শব্দ ক্রিপ্টোস (kryptos) এর অর্থ হচ্ছে ‘লুকানো’, অন্যদিকে গ্রাফি (Grapy) শব্দটি ফরাসি ও জার্মানি শব্দ ‘graphie’ থেকে এসেছে যার অর্থ দাড়ায় ‘লেখার প্রক্রিয়া’। মধ্যযুগে মূল্যবান কিছু জিনিশকে মাটির নিচে লুকাতে এই শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়। আসলে ক্রিপ্টোগ্রাফি হচ্ছে লেখার একটি ধরণ যেখানে লুকানো অনেক কিছুই থাকে।
ক্রিপ্টোগ্রাফি মূলত কোড লেখার মতো‌ই একটি আধুনিক শিল্প যা ডিকোড (Decode) করলে অর্থপূর্ণ ফলাফল পাওয়া যায়। এটির প্রথম ব্যবহার শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় যখন রেডিওর মাধ্যমে সংবাদ সিগনালে পাঠানো হতো এবং তা ব্যর্থ হতো কারন তখন ডিক্রিপ্ট করার পদ্ধতি জানা ছিল না।
🔰currency ➡️
Crypto-currency দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে currency। এটি মূলত একধরনের টোকেন যার নির্দিষ্ট একটি মূল্য রয়েছে যা দিয়ে পণ্য বা সার্ভিস কেনা যায়। মুদ্রা তৈরী হওয়ার আগে এমন এক ব্যবস্থা ছিলো যেখানে পণ্যের পরিবর্তে পণ্য পাওয়া যেতো। মুদ্রা ব্যবস্থা স্থিতিশীল একটি অর্থনৈতিক সিস্টেম বা কাঠামো গঠন করে। প্রচলিত লেনদেন ব্যবস্থায় মুদ্রা এবং নোট খুবই সাধারণ একটা পদ্ধতি। তাছাড়া ব্যাংকের চেক, মানি-অর্ডারসহ বিভিন্ন রকম কাগজ, মুদ্রা হিসেবে প্রচলিত। এদিক থেকে বলা যায়, ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল দিক থেকে অনেক অগ্রসর করে তুলেছে।
এতোক্ষণ ধরে আমরা Crypto ও currency মানে বুঝলাম। এদেরকে একসাথে করলে যা দাড়ায় – Cryptocurrency হচ্ছে নিরাপদ ও লুকায়িত মুদ্রা ব্যবস্থা, প্রচলিত মুদ্রার মতোই যার আর্থিক মূল্য রয়েছে। বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, লাইটকয়েন ও অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলো একই ছাতার নিচে অবস্থান করছে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ এর বেশী ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে এবং দিনে দিনে তা বাড়ছেই।
♻️ Cryptocurrency উদ্ভাবন ➡️
----*-----*--------**-----------*------
যুগের পর যুগ ধরে মানুষ মুদ্রা ব্যবস্থার উন্নতি খুজছে যেটা ভবিষ্যতে আমাদের অর্থনীতিকে পরিচালনা করবে। যাইহোক মানুষ প্রথম এই বিষয়ে সফলতার ছোয়া পায় যখন তারা বিটকয়েন(২০০৮ সালে)-এর আবিষ্কারক Satoshi Nakamoto সম্পর্কে জানে। এটা ছিল প্রথম স্থায়ী ও সফল ক্রিপ্টোকারেন্সি যেটা ২০০৯ সালে ভালভাবে প্রকাশ পায়। তখন থেকেই প্রায় ১০০০ ক্রিপ্টোকারেন্সি আবিষ্কার হয়। একারনেই এই সকল মুদ্রাগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিশাল বানিজ্য ক্ষেত্র হবে বলে আশা করা যায়। আর আমরা এমন একটি কারেন্সি নিয়ে গবেষনা করছি যেটার একটি স্থায়ী ভবিষ্যৎ রয়েছে।
অনেক বছর ধরে সাতোশি নাকামোতো কে চিহ্নিত করার ব্যাপক প্রচেষ্টা চলছে কিন্তু সবাই ব্যর্থ হয়েছে। এই মানুষটি কে তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নি। আর এই অজানা মানুষ ( অথবা হতে পারে কোনো টিম) ই ক্রিপ্টোকারেন্সি নামক ডিজিটাল বিপ্লব ঘটানোর পেছনে দায়ী। সম্প্রতি NSA একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যেখানে “সাতোশি”র লেখার প্যাটার্ণ থেকে ৫০ টি ব্যবহৃত শব্দ ছিলো, যা দিয়ে সাতোশি নাকামোতো’কে চিহ্নিত করা যায়। গবেষণায় ‘Stylometry’ পদ্ধতিতে এটা বের করা হয়।
✅মানুষ কেনো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আকৃষ্ট হচ্ছে?😴
ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি জনপ্রিয় বিষয়। এটা শুধু কেবল একটি ভিন্ন মুদ্রানীতি নয়, বরং এটি আমাদেরকে সরকারের থাবা থেকেও মুক্ত করে দেয়। এই অর্থ সরকারী নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যাংক চার্জ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। এটি দ্রুততর, আরো সুরক্ষিত এবং এটি কখনোই চুরি বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না এবং যে কোনো অঙ্কে এটাকে ভাগ করা যায়।
ক্রিপ্টোকারেন্সির আরও একটি সুবিধা হচ্ছে এটি উচ্চমানের নিরাপত্তার সাথে ডিজিটাল অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। আরও মজার বিষয় এই সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন ব্যবস্থাপনায় কোন প্রকার নকল বা প্রতারণার শিকার হতে হয় না। এছাড়াও এই লেনদেন ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকিং কাঠামো বা সিস্টেমের চেয়ে কম টাকা লাগে।
মানুষের ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার অন্যতম প্রধান আকর্ষন হলো এটি বাজারে ক্রমান্বয়ে পরিবর্তনশীল। যদিও এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। যাই হোক এই সময়ের বাজারে এটি খুব লাভজনক এবং তাই বিনিয়োগকারীদের এখানে বিনিয়োগ করতে আকর্ষণ করে।
🌺🌺🌺🌺🌺Allah Hafiz 🌺🌺🌺🌺🌺