বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০

হ্যাকিং ‍কি ও হ্যাকিং বিদ্যার সদ্ব্যবহার

হ্যাকিং কি ও হ্যাকিং বিদ্যার সদ্ব্যবহারঃ
প্রথমেই বলে নেই কয়েকজন মানুষের কথা- স্টিভ ওয়াজনাইক ও স্টিভ জবস্ বা বিল গেটস্ বা মার্ক জুকারবার্গ, তাদের তো আমরা সবাই জানি, আচ্ছা এটা জানেন তো তাদের শুরু হ্যাকিং থেকে আর উনারা সবাই ব্রিলিয়ান্ট হ্যাকার।
মিডিয়া ও বিভিন্ন মুভি হ্যাকার মানে একটা ভয়ংকর আপরাধী বা ভিলেন হিসাবে আমাদের বদ্ধমূল ধারানা তৈরী করে দিয়েছে। আবার বর্তমানে হ্যাকিং এর নামে বিভিন্ন হ্যাকাররা যে ধরনের ক্রাইম করছে তাতে এটা মনে হওয়াই স্ভাবাবিক । আচ্ছা বলুনতো ঐ যে উপরে চারজনের নাম বল্লাম তারা না থাকলে আজকে কোথায় পেতেন এ্যপল কোথায় পেতেন মাইক্রোসফ্ট বা ফেসবুক? এরকম অনেক বড় লিস্ট দেয়া যাবে, যাদের আমরা কেন পুরবিশ্ব চেনে এবং তাদের অবদানে আজ আমরা এই জায়গায়।
এবার আসি হ্যাকিং কি?
সহজ ভাষায় হ্যাকিং হলো কম্পিউটার সিস্টেমে বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিষ্টেমে প্রবেশ করার জন্য দুর্বল দিকগুলো খুঁজে বের করে অবৈধভাবে প্রবেশ করা বা তার এক্সেস নেয়া।
আর হ্যাকার হলো - যিনি কম্পিউটার সিস্টেমের বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিষ্টেমের সিকিউরিটির ত্রুটিগুলো বের করতে দক্ষ এবং সিকিউরিটি ব্রেক করে একসেস নিতে বা অনুপ্রবেশ করতে দক্ষ।সাথে এটাও মনে রাখা দরকার যে যত বড় হ্যাকার সে তত টেলেন্টেড এবং তার প্রভাব তত বেশী।
কি কি ধরনের হ্যাকিং হয়ে থাকে –
সাধারনত ওয়েভসাইট হ্যাকিং, সার্ভার হ্যাকিং, ই-মেইল হ্যাকিং, পাসওয়ার্ড হ্যাকিং, কম্পিউটার হ্যাকিং, সোশাল-মিডিয়া (ফেসবুক, স্কাইপি, ইন্সট্রাগ্রাম, …), মোবাইল হ্যাকিং, ইত্যাদি ।
হ্যাকিং কি সিত্যিই ক্ষতিকারক?
হ্যাকিং মানে হলো সিষ্টেমের খুঁত বের করা, তা থেকে সিকিউরিটি ব্রেক করা, আর সেজন্যই তৈরী হচ্ছে আপডেট, হচ্ছে সিকিউর, হচ্ছে উন্নত। এখন আপনিই বলুন হ্যাকিং কি ক্ষতিকর? যে যত বড় হ্যাকার সে তত মেধাবী এবং তার প্রভাব তত বেশী। এরকম প্রভাবশালী হ্যাকার ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে এবং তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সাইবার জগৎ।
এদের মধ্যে কেউ নিজের মেধাকে ভালো কাজে লাগায় কেউ নিজের অজান্তেই করে বসে অপরাধ আর হয়ে উঠে অপরাধী তাও আবার চোর গুন্ডা নয় তারা সাইবার অপরাধী।
প্রতিটি জিনিসের যেমন ভাল দিক আছে তার বিপরীত দিকটিও রয়েছে। সেটা নির্ভর করবে আপনার উপর। রামদা দিয়ে গরু খাশী ও কাটা যায় আবার কোপা শামশু ও হওয়া যায়।
আপনি কি জানেন?
ইথিক্যাল হ্যাকারদের পেনটেষ্টিং এর জন্য বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি হায়ার করে, বাউন্টি দেয়। কার কথা বলবো? মাইক্রোসফ্ট, ফেসবুক, গুগল থেকে শুরু করে যেমন ধরুন অ্যামাজোন, উবার, আরো অনেক কোম্পানি আপনাকে বাউন্টি দেয়ার জন্য বসে আছে, শুধু প্রপার ওয়েতে হ্যাকিং বিদ্যাটা কাজে লাগান এবং টাকা ইনকাম করুন।
আপনি কি জানেন- ফ্রিল্যন্সিং করে ঘন্টায় কত টাকা ইনকাম করছে আমাদের এবং পার্শ্ববর্তী দেশের ইয়ং জেনারেশন?
ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখুন দেশ ও মানুষের উপকার করুন সর্বোপরী নিজে স্বাবলম্বী হোন।
হ্যাকাররা সাধারণ মানুষকে বোকা বানায়, 😴
"সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ"রা হ্যাকারদের ই বোকা বানায়। 😎
Who is the real gangsta??
(আবার দেখা হবে অন্য টপিক্সে- হ্যাকিং কিভাবে শিখবেন, হ্যাকিং শেখার জন্য আপনার যোগ্যতা কি থাকা প্রয়োজন...ইত্যাদি ।)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন